Web Development

ক্লাউডফ্লেয়ার কি? | কেন ব্যবহার করবেন? | সেটআপ পদ্ধতি।

একটি ওয়েবসাইট সুন্দর ও সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনা করতে হলে ওয়েবসাইটের মালিকের বিভিন্ন বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখতে হয়। যেমন ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি, পারফোমেন্স, ইউজার এক্সপ্রিয়েন্স, ওয়েবসাইট লোডিং স্পিড ইত্যাদি সঠিকভাবে নিশ্চিত রাখতে হয় যাতে ওয়েবসাইট ভালো থাকে। আপনি যদি ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করেন এবং ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন হয়ে থাকেন কখনো না কখনো ক্লাউডফ্লেয়ার(Cloudflare) এই নামটি শুনেছেন। আজকের এই আর্টিকেল জানবো ক্লাউডফ্লেয়ার কি? (whati is cloudflare) , এটি কিভাবে কাজ করে, কেন ব্যবহার করবেন এবং সর্বশেষ কিভাবে আপনার ওয়েবসাইট ক্লাউডফ্লেয়ারের সাথে যুক্ত করবেন।

ক্লাউডফ্লেয়ার কি (whati is cloudflare)

ক্লাউডফ্লেয়ার নামটি শুনে হয়তো অনেকেই মনে করে নিয়েছেন এটি ডোমেইন ও হোস্টিং সম্পর্কিত কোন সার্ভিস হবে। কিন্তু না এটি কোন ডোমেইন হোস্টিং সম্পর্কিত সার্ভিস নয় তবে এটি কি ভালো ভাবে বুঝতে হলে আপনাকে ডোমেইন ও হোস্টিং কি, ক্যাশ সার্ভার কি, ওয়েবসাইট কিভাবে কাজ করে এই সম্পর্কে কিছু হলেও ধারণা থাকা দরকার। চিন্তার কিছু নেয় আপনি যদি নাও জেনে থাকেন আমি সহজেই আপনাদের কে বুঝানোর চেষ্টা করবো Cloudflare কি? কেন এবং কিভাবে ব্যবহার করবেন।

ক্লাউডফ্লেয়ার মূলত একটি মার্কিন ওয়েব সিকিউরিটি ও কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার সার্ভিস(CDN = Content Delivery Network) প্রদানকারী কোম্পানি। যদি সহজ ভাষায় বলতে যায় এটি আপনার ওয়েবসাইট ও ভিজিটরের মধ্যে একটি সুরক্ষিত লেয়ার প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান যা আপনার ওয়েবসাইট কে বিভিন্ন ধরনের বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে থাকে। ক্লাউডফ্লেয়ার CDN, DDos Attack Protection, Free SSL, Website Optimization, Traffic Monitoring সহ আরো কিছু সেবা প্রদান করে থাকে।

কেন ক্লাউডফ্লেয়ার ব্যবহার করবেন?

ক্লাউডফ্লেয়ার কি তা আমরা ইতিমধ্যে সংক্ষেপে জেনেছি, এটি আরো ভালোভাবে বুঝতে হলে আমাদের প্রথমে জানতে হবে ওয়েবসাইট কিভাবে কাজ করে? আমরা যখন কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য ব্রাউজারে ওয়েবসাইটের নাম লিখে যেমনঃ biplophossain.me ওয়েবসাইটে ভিজিট করার চেষ্টা করি তখন ব্রাউজার আমাদের হয়ে হোস্টিং সার্ভার অর্থাৎ ওয়েবসাইট যেখানে রাখা আছে সেখানে একটি রিকুয়েষ্ট প্রেরণ করে থাকে। যে এই কম্পিউটারটি ওয়েবসাইটের এই পেজটি ভিজিট করতে চাচ্ছে সেটিকে বলা হয় ক্লায়েন্ট বা ক্লায়েন্ট সাইট আর যে বিশেষ কম্পিউটারটি এই রিকুয়েশট নিচ্ছে সেটি হলো সার্ভার কম্পিউটার। তো আমরা ওয়েবসাইট ভিজিট করার পর ব্রাউজার সার্ভারের কাছে একটি রিকুয়েষ্ট পাঠায় যে এই ওয়েব পেজটি আমাকে দেখাও তখন সার্ভার সেই ওয়েবসাইটের একটি কপি ব্রাউজারের কাছে পাঠিয়ে দেয় তখন ব্রাউজার আবার সেটিকে রেন্ডার করে দেখিয়ে দেয়।

এখন ধরুন,  আমার ওয়েবসাইটটি কোন এক হোস্টিং কোম্পানি থেকে কেনা হয়েছে সেটা হতে পারে Namecheap, Host Gator, Digital Ocean, SiteGroud । এখন সেই ওয়েব হোস্টিং প্রোভাইড করা কোম্পানির ডাটা সেন্টার আছে আমেরিকায়। এখন কেউ যদি আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করার চেষ্টা করবে তখন সেটি বিভিন্ন দেশ পারি হয়ে আমেরিকায় যাওয়ার পর তারপর আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিটর কে দেখাবে। এখন এই ওয়েবসাইটটি যদি আমাদের কাছের কোন ডাটা সেন্টারে থাকতো তাহলে ওয়েবসাইটে আর দ্রুত সময়ে পৌঁছানো যেতো। অর্থাৎ ওয়েবসাইটের ডাটা সেন্টার ভিজিটর অবস্থান থেকে যতদূরে অবস্থান করবেন ততো বেশি সময় লাগবে।

এই ডাটা গুলো আদান প্রদান ফাইবার অপটিক্যাল কেবল সহ আরো বিভিন্ন মাধ্যমে এতো দ্রুত আদান প্রদান হয় যে আমরা সেই সময়ের ব্যবধানটুকু ধরতে পারি না। আমরা রেগুলার যেভাবে ওয়েবসাইট ভিজিট করে যেমন সময় লাগে ঠিক তেমন সময় লাগে বলে মনে হয় কিন্তু ভেতরে কাজটা আলাদা। এখন ভাবুন আপনার ওয়েবসাইট এমন এক দেশ থেকে ভিজিট করা হচ্ছে যার থেকে আপনার হোস্টিং সার্ভারের দূরত্ব অনেক তখন সময় অবশ্যই বেশি লাগার কথা ও লাগবেও।

ওয়েবসাইট বা অন্য কোন অ্যাপ্লিকেশনের ডাটা দ্রুত আদান প্রদান করার জন্য একটি জন্য একটি সিস্টেম বের করা হয় যার নাম দেওয়া হয় কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক যাকে সংক্ষেপে সিডিএনও বলা হয়। CDN নাম শুনলেই অনেকটা ধারণা পাওয়া যায় এর কাজ কি, এর কাজ হলো কনটেন্ট ডেলিভার করা। কেমন কনটেন্ট? সেটি হতে পারে কোন ওয়েব পেজ অথবা কোন অ্যাপ্লিকেশনের ডাটা।

যখন একটি ওয়েবসাইট ক্লাউডফ্লেয়ার বা কোন সিডিএন এর সাথে যুক্ত হয়ে থাকে তখন কেউ আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করলে আপনার হোস্টিং সার্ভার যতদূরে অবস্থান করুন না কেন খুবই দ্রুত আপনার ওয়েবসাইট কে লোড করবে। কারণ ক্লাউডফ্লেয়ার বা সিডিএন গুলো আপনার ওয়েবসাইটের একটি কপি তাদের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লোকাল সার্ভারে স্টোর করে রাখে ফলে যখন কেউ ওয়েবসাইট ভিজিট করে তখন সিডিএন নেটওয়ার্ক ঐ ভিজিটরের কাছের সার্ভার থেকে ওয়েবসাইটের উক্ত পেজ কে লোড করে ফেলে। যার জন্য আমরা খুবই দ্রুত ওয়েবসাইটের কনটেন্ট গুলো দেখতে পারি।

যখন ওয়েবসাইট ক্লাউডফ্লেয়ারের সাথে সংযুক্ত করা হয় তখন তারা ওয়েবসাইটের একটি কপি তাদের বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ডাটা সেন্টার গুলোর কাছে পাঠিয়ে দেয়। যার ফলে আমাদের ওয়েবসাইটটি যখন কেউ ভিজিট করার চেষ্টা করবে সহজেই এবং খুব দ্রুত ওয়েবসাইট লোড করে দিবে ব্রাউজারে। মূলত সিডিএন গুলো ক্যাশ সার্ভার ব্যবহার করে এই কাজ করে থাকে। এখন প্রশ্ন ক্যাশ সার্ভার কি? ক্যাশ সার্ভার হলো এমন এক ধরনের সার্ভার যা আপনার ওয়েবসাইটের লাইভ ভার্সন গুলোর কপি স্টোর করে থাকে আর যখন কেউ এই জিনিসটি চাই তখন সাথে সাথে কাছের সার্ভার থেকে দিয়ে দেয়।

সহজ ভাষায়, যখন কোন ভিজিটর ওয়েবসাইট ভিজিট করার চেষ্টা করবে তখন ক্লাউডফ্লেয়ার ঐ ভিজিটরের লোকেশন অনুযায়ী সব থেকে কাছের সার্ভার থেকে ওয়েবসাইট কে অ্যাক্সেস করাবে। ফলে আপনার ওয়েবসাইট দ্রুত লোড হবে। অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটের গতি বৃদ্ধি করার কাজে ক্লাউডফ্লেয়ার অনেক কাজে আসবে।

ক্লাউডফ্লেয়ার ব্যবহারের সুবিধাঃ

উপরের অংশ থেকে আমার জানতে পেরেছি Cloudflare কি? কেন এটি ব্যবহার করবেন। এখন আমরা ক্লাউডফ্লেয়ার ব্যবহার করলে আরো কি কি সুবিধা পেতে পারে সেই সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করবো।

  • ফ্রি এসএসএল সার্টিফিকেটঃ ক্লাউডফ্লেয়ার সার্ভিস ব্যবহার করলে ফ্রি একটি এসএসএল সার্টিফিকেট ইনস্টল করার সুবিধা পাবেন। যার মেয়াদ আজীবন পর্যন্ত।
  • ওয়েব সিকিউরিটিঃ একটি ওয়েবসাইট পরিচালনা করতে গেলে সেই ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হয়। Cloudlfare সাথে আপনার ওয়েবসাইট সংযুক্ত থাকলে ওয়েবসাইটকে বিভিন্ন ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন। একটি ওয়েবসাইট জনপ্রিয় হয়ে উঠল এর শত্রুও বেরে যায় এবং বিভিন্ন ভাবে ক্ষতির চেষ্টা করে অসাধু লোকজন। এইসব ক্ষতিকর অ্যাটাক থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবেন ক্লাউডফ্লেয়ার। কেউ যদি সাইটে DDos Attack দেয় সেটির প্রতিরোধ করার ক্ষমতা ক্লাউডফ্লেয়ারের মধ্য আছে যার ফলে আপনার ওয়েবসাইট থাকবে আরো সুরক্ষতি।
  • পারফোমেন্স বৃদ্ধিঃ ক্লাউডফ্লেয়ারে ওয়েবসাইট যুক্ত করলে আগের থেকে অনেক ভালো লোডিং স্পিড পাবেন। এবং হোস্টিং সার্ভার দূরে অবস্থান করার জন্য যে লেটেন্সি থাকে সেটি কমে যাবে। যার ফলে আপনার ওয়েবসাইট অনেক দ্রুত লোড হবে। অনেকে ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড বৃদ্ধি করার জন্য Cloudflare ব্যবহার করে থাকে।
  • সার্ভিস চার্জঃ ক্লাউডফ্লেয়ারের ফ্রি এবং পেইড সার্ভিস দুটি রয়েছে। আমাদের জন্য ফ্রি প্ল্যান যথেষ্ট।
  • ডিএনএস ম্যানেজমেন্টঃ ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেলে যেমন DNS Management করতে পারতেন ঠিক তেমন ক্লাউডফ্লেয়ারেও আপনি তা করতে পারবেন। এবং এটি আপনার ডোমেইন প্রোভাইডার থেকে DNS আরো দ্রুত Resolve করে থাকে।
  • ট্রাফিক মনিটরিংঃ ওয়েবসাইটের ভিজিটর মনিটরিং করতে পারবেন কত ভিজিটর কোথায় থেকে আসতেছি ইত্যাদি জিনিস গুলো দেখতে পারবেন।
  • আইপি ব্লকঃ কোন আইপি থেকে ওয়েবসাইটের ক্ষতিকরার চেষ্টা করলে সেই আইপি গুলো ব্লক করতে পারবেন।
  • সার্ভার ডাউনঃ কখনো যদি আপনার ওয়েব হোস্টিং সার্ভার ডাউন হয়ে যায় তাহলেও আপনার ওয়েবসাইট লাইভ দেখাবে ক্লাউডফ্লেয়ারের মাধ্যমে। অনেক সময় হোস্টিং সার্ভারের জন্য ওয়েবসাইট ডাউন হয়ে যায় সেই সময় ওয়েবসাইটের ভিজিটর গণ ওয়েবসাইটটিকে দেখতে পাই না। কিন্তু যদি ক্লাউডফ্লেয়ার ব্যবহার করে থাকে তাহলে তারা আপনার সাইটের ক্যাশ থেকে আপনার সাইট ভিজিটর কে দেখাবে।
  • ফায়ারওয়ালঃ ক্লাউডফ্লেয়ার থেকে একটি শক্তিশালী ফায়ারওয়াল সিস্টেম পাবেন। যদিও ফ্রি প্ল্যানে তেমন কোন সুবিধা নেয় কিন্তু যথেষ্ট।

ক্লাউডফ্লেয়ারের অসুবিধাঃ

প্রত্যেক জিনিসের সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে সেই ধারাবাহিকতায় ক্লাউডফ্লেয়ারেরও কিছু অসুবিধা রয়েছে কিন্তু এইগুলো অসুবিধা না বললেও চলে।

  • আমার কাছে যেটি অসুবিধা মনে হয় সেটি হলো ক্যাশ ধরে রাখার কারণে অনেক সময় সাইটের ছোট খাটো পরিবর্তন করলে সাথে সাথে আপডেট কনটেন্ট নাও দেখাতে পারে।
  • অন্যান্য সিএডএন থেকে এদের প্ল্যান প্রাইস বেশি কিন্তু মানেও ভালো। আমাদের জন্য ফ্রি প্ল্যান যথেষ্ট।

এই ছিল বলার মতো অসুবিধা তাছাড়া আমার কাছে এই জিনিসটা ভালোই মনে হয়।

সেটআপ পদ্ধতিঃ কিভাবে ক্লাউডফ্লেয়ারের সাথে ওয়েসাইট সংযুক্ত করবেন?

চলুন এখন দেখা যাক, কিভাবে আপনার ওয়েবসাইটটি ক্লাউডফ্লেয়ারের সাথে সংযুক্ত করবেন। আপনাদের বুঝার সুবিধার জন্য স্ক্রিনশট দেওয়া হয়েছে বুঝতে না পারলে অবশ্যই স্ক্রিনশটের মার্ক করা অংশ গুলো খেয়াল করবেন।

১। প্রথমে Cloudflare.com ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন তারপর পর Sign Up নামে বাটন আছে ক্লিক করুন।

২। এখন একটি অ্যাকাউন্ট তৈরী করতে হবে তার জন্য আপনার ইমেইল এড্রেস ও পাসওয়ার্ড দিয়ে Create

cloudflare account

৩। অ্যাকাউন্ট করার পর ইমেইল কনফার্মেশন করার জন্য আপনার ইমেইলে একটি মেইল যাবে সেই মেইলের লিংকে ক্লিক করে অ্যাকাউন্ট ভ্যারিফাই করে নিন। অনেক সময় লিংকে ক্লিক করার পর ক্যাপচা দিতে পারে সেটি ফিল করে পরবর্তীতে আবার লগিন পেজ দিবে আবার লগিন করুন।

৪। লগিন করার পর ভেরিফাই হয়ে গেছে এমন একটি মেসেজ দিবে। তারপর Continue to dashboard এ ক্লিক করুন।

ক্লাউডফ্লেয়ার কি

৫। এখন আপনার ওয়েবসাইটটি ক্লাউডফ্লেয়ারে যুক্ত করার জন্য Add Site এ ক্লিক করুন।

৬। এরপর আপনার ওয়েবসাইটের নাম দিয়ে Add Site এ ক্লিক করুন।

add website into cloudflare৭। ওয়েবসাইট এড করার পর আপনাকে প্ল্যান চয়েস করতে বলবে সবার শেষে ফ্রি প্ল্যান রয়েছে সেটি সিলেক্ট করে Continue করুন।

cloudlfare free plan

৮। এরপর কয়েক সেকেন্ড এড করুন তারপর আপনার ডোমেইনে যেসব ডিএনএস রেকর্ড গুলো ছিল সেই গুলো দেখাবে। আপনি এই অবস্থায় Continue করুন।

cloudflare dns management

৯। এখন ক্লাউফ্লেয়ারের মূল কাজ হলো তারা আপনার আগের নেম সার্ভারের পরিবর্তে যে নতুন দুটি Name Server দিবে সেটি আপনাকে আপনার ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেলে লগিন করে সেট করতে হবে।

cloudflare name server

১০। আমি ডোমেইন Namecheap থেকে কেনা হয়েছে সেই জন্য আমি Namecheap নেম সার্ভার পরিবর্তন করার দেখাচ্ছি। আপনারা যে যে ডোমেইন প্রোভাইডার থেকে ডোমেইন কিনেছে তার কন্ট্রোল প্যানেলে লগিন করুন। লগিন করার পর দেখুন Name Server manage করার অপশন আছে। আর যদি নেম সার্ভার চেঞ্জ করা আগেই থেকেই জানেন তাহলে তো হয়েই গেল।

প্রথমে Namecheap লগিন করুন তারপর ড্যাশবোর্ডের বাম পাশে Domain list ক্লিক করে Manage বাটনে ক্লিক করুন তারপর দেখুন Name Server নামে একটি অপশন রয়েছে সেখানের ড্রপডাউন মেনু থেকে Custom DNS সিলেক্ট করুন। এরপর ক্লাউডফ্লেয়ারের যে দুটা ডিএনএস দিয়েছে সেটি সিরিয়াল অনুসারে সেট করুন। যেমন আমার ক্ষেত্রে Name Server 1: arturo.ns.cloudflare.com এটি এবং Name Server 2: kimora.ns.cloudflare.com এটি। সেটি সিরিয়াল মত দিয়ে চেক বাটনে ক্লিক করলাম।

namecheap name server

১১। Name Server সেটআপ করা হয়ে গেলে ক্লাউডফ্লেয়ারের আগের ট্যাবে ফিরে আসুন তারপর Done, Check Nameservers ক্লিক করুন। যদি সঠিক মতো সেট করে থাকেন তাহলে পরবর্তী ধাপে চলে যাবে। অনেক সময় Nameserver পরিবর্তন হতে বেশ ভালো সময় নেয় তাই যদি আপনার কোন সমস্যা হয় তাহলে কিছুক্ষণ পর আবার Done, Check Nameserver ক্লিক করে দেখুন।

১২। পরর্তীতে আপনাকে নিচের মতো একটি ইন্টারফেস দিবে। আপনি চাইলে Configuration recommendations এ ক্লিক করে তার Recommend সেটিংস ও SSL চালু করতে পারেন। যেহেতু আপনার ওয়েবসাইটে হোস্টিং থেকে SSL রয়েছে যে জন্য আমি এই ধাপ টি স্কিপ করলাম।

what is cloudflare

তাহলে আমাদের কাজ শেষ, আমরা সঠিকভাবে ক্লাউডফ্লেয়ারের সাথে আমাদের ওয়েবসাইট সংযুক্ত করতে পেরেছি।

ক্লাউডফ্লেয়ার ড্যাশবোর্ড

cloudflare-dashboard

আপনি চাইলে ক্লাউডফ্লেয়ারের ড্যাশবোর্ডের বিভিন্ন সেটিং পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। বাম পাশে ক্লাউডফ্লেয়ারের বিভিন্ন অপশন রয়েছে সেই গুলো টেস্ট করে দেখতে পারেন। ভালো হয় যদি ক্লাউডফ্লেয়ার সেটিংস সম্পর্কিত ভিডিও দেখে নেন।

উপসংহার

আমরা তাহলে আজকে শিখতে ও জানতে পারলাম ক্লাউফ্লেয়ার কি?(what is cloudflare) এবং কেন এটি আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের জন্য ব্যবহার করবো। এছাড়াও কিভাবে আমরা ক্লাউফ্লেয়ারের সাথে আমাদের ওয়েবসাইট সংযুক্ত করতে পারি। আশা করি, আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।

ধনবাদ

আরো পড়ুনঃ

স্টুডেন্টদের জন্য ৫টি সেরা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ – 2022।

দ্রুত কম্পিউটার টাইপিং শেখার নিয়ম | টাইপিং মাস্টার।

Racydev Linky – ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগের লিংক থেকে আয় করার উপায়।

.me ফ্রি ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন স্টুডেন্টদের জন্য Github দিয়ে।

গিটহাব স্টুডেন্ট ডেভেলপার প্যাক কি? বিস্তারিত।

MD Biplop Hossain

আমি মোঃ বিপ্লব হোসেন। নিজেকে আমি একজন প্রযুক্তি প্রেমী মানুষ হিসাবে পরিচিত দিতে বেশি পছন্দ করি। আমি শিখতে ও শেখাতে পছন্দ করি তাই নিজের এই ছোট্ট ব্লগের মাধ্যমে ইন্টারনেটে বাংলায় প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল উপহার দেওয়ার চেষ্টা করছি। বর্তমানে আমি ফ্রন্টএন্ড ডেভেলপার হিসাবে একটি আইটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!