কিভাবে ডোমেইন ও হোস্টিং কিনতে হয়? – ধারাবাহিক টিউটোরিয়াল।
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমার ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের আর্টিকেল টি আমার ও আপনাদের জন্য স্পেশাল হতে পারে কারণ আজ থেকে এই আর্টিকেল প্রকাশ করার মাধ্যমে শিখাবো “কিভাবে ডোমেইন হোস্টিং ব্যবহার করতে হয় এবং কিভাবে কোন দক্ষতা ছাড়া ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে ওয়েবসাইট বানাতে পারেন”। এর জন্য আমাদের প্রথম অবস্থায় জানতে হবে ডোমেইন বা হোস্টিং কি জিনিস।
তারপর জানতে হবে কিভাবে ডোমেইন কিনতে হয়, কিভাবে হোস্টিং কিনতে হয়। এই বেসিক দুটি জিনিস কেনার আগে আমাদের জানতে হবে আমরা কি ধরনের ওয়েবসাইট বানাতে চাচ্ছি এবং তার জন্য উপযুক্ত হোস্টিং প্যাকেজটি কোনটি। এরপর সেই হিসাবে একটি ভালো হোস্টিং সার্ভিস প্রোভাইডার থেকে হোস্টিং ক্রয় করতে হবে। এই সকল বিষয় গুলো নিয়ে ধাপে ধাপে নিজের স্বল্প জ্ঞান থেকে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি আশা করছি আপনারা সবাই উপকৃত হবেন।
যারা ডোমেইন ও হোস্টিং সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা নিতে চান নিচের দুটি আর্টিকেল পড়তে পারেনঃ
ডোমেইন কি? ডোমেইন কত প্রকার ও কি কি?
ওয়েব হোস্টিং কি? হোস্টিং কত প্রকার – বিস্তারিত আলোচনা।
কোন ধরনের হোস্টিং প্যাকেজ কিনবেন?
হোস্টিং কেনার আগে আপনাকে ওয়েবসাইটের জন্য উপযুক্ত হোস্টিং প্যাকেজটি সিলেক্ট করতে হবে। আপনার জন্য উপযুক্ত প্যাকেজটি কোনটি কিভাবে বুঝবেন? সেটি বোঝার জন্য কিছু সাধারণ নিয়ম আছে এছাড়াও আপনি যদি কোন ডেভেলপার দিয়ে ওয়েবসাইটটি ডেভলপ করে নিতে চান তাহলে তার কাছে পরামর্শ নিতে পারেন। আর যারা নিজেরাই সব কিছু করে চাচ্ছেন তারা এই ব্লগটা অনুসরণ করতে পারেন।
বিভিন্ন কনফিগারেশন উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়ে থাকে হোস্টিং প্যাকেজ গুলো। কত জিবি স্পেস থাকবে(এটি হলো আপনার সার্ভারের ফাইল রাখার জায়গার পরিমাণ), Bandwidth কত জিবি দিবে, কতটি ডোমেইন ও সার ডোমেইন এড করা যাবে, ডাটাবেস কতটি তৈরি করা যাবে, সার্ভারের ধরন কি শেয়ার্ড, ডেডিকেটেড নাকি ভিপিএস ইত্যাদি মিলিয়ে বিভিন্ন রকম প্যাকেজ করা হয়। এর মধ্যে থেকে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য কোনটি উপযুক্ত হবে সেটি নির্বাচন করতে হবে।
হোস্টিং সাধারণত ৫১২ মেগাবাইট স্পেস প্যাকেজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কোম্পানি করে সেল করে। এছাড়াও অনেক কোম্পানি ১ জিবির প্যাকেজ থেকে হোস্টিং সেল করে। এখন বিষয় আপনি কোন প্যাকেজ নিবেন? আপনি যদি একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তাহলে ১ অথবা ২ জিবি স্পেসের প্যাকেজ দিয়ে আপনার ব্লগিং ওয়েবসাইটের যাত্রা শুরু করতে পারেন এরপর ঐ জায়গা সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আপগ্রেড করে স্পেসের পরিমান বাড়িয়ে নিতে পারেন। এই ক্ষেত্রে আপনি শেয়ার্ড হোস্টিং দিয়ে শুরু করতে পারেন তারপর যখন আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমাণ ভিজিটর আসা শুর হবে তখন চাইলে ডেডিকেটেড হোস্টিং বা ভিপিএস হোস্টিং নিতে পারেন।
ব্লগ ওয়েবসাইট গুলো সাধারণত শেয়ার্ড হোস্টিং ও ভিপিএস হোস্টিং লোকজন বেশি রাখে। ব্লগ শুরুর অবস্থায় শেয়ার্ড হোস্টিং ই ভালো এবং কম দাম কিনতে পারবেন একজন নতুন ব্লগারের জন্য এতো দাম দিয়ে হাই কনফিগারেশনের সার্ভার ক্রয় করা সম্ভব না। অন্যদিকে আপনি যদি একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট নিতে চান তাহলে আপনি আপনার হোস্টিং প্যাকেজের স্পেসের পরিমাণটা বৃদ্ধি করতে হবে আপনি কতটি প্রোডাক্ট আপলোড করতে সে অনুযায়ী।
কোন হোস্টিং প্যাকেজ কিনবেন সেটি নিয়ে যদি আলোচনা করতে চাই আরো একটি আর্টিকেল লিখতে হবে। তাই সহজে বলি যারা ব্লগ, ই-কমার্স, পোর্টফোলিও ইত্যাদি ধরনের ওয়েবসাইট বানাতে চাচ্ছেন তারা শেয়ার্ড হোস্টিং দিয়ে যাত্রাটি শুরু কতে পারেন তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী আপগ্রেড করতে পারেন। অথবা আপনার যদি ধারণা থাকেই যে ওয়েবসাইট তৈরি করার পর আপনার সাইটে প্রচুর ভিজিটর আসবে তাহলে সেই বুঝে একটি ভালো প্যাকেজ ক্রয় করে নিবেন।
কোথায় থেকে হোস্টিং কিনবেন?
মার্কেটে দেশী এবং বিদেশী অনেক হোস্টিং প্রোভাইডার রয়েছে যারা বিভিন্ন ধরনের ও দামের হোস্টিং সার্ভিস দিয়ে থাকে। এর মাঝে আপনি কোনটি বেছে নিবেন? সহজ হিসাব আপনার বাজেট এবং পেমেন্ট মেথড কি আছে সেটির উপর ভিত্তি করে নিবেন। আপনি যদি বিদেশী কোন কোম্পানি থেকে হোস্টিং ক্রয় করতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনার ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট গেটওয়ে থাকতে হবে অর্থাৎ তাদেরকে পেমেন্ট করার মতো কিছু থাকবে হবে যেমনঃ ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিড কার্ড, পেপাল, মাস্টার কার্ড ইত্যাদি।
পেমেন্ট নিয়ে সমস্যার সাথে সাথে আরেকটি সমস্যা রয়েছে সেটি হলো ইন্টান্যাশনাল হোস্টিং কোম্পানি গুল ১ বা ২ জিবির প্যাকেজ মানে কম পরিমাণের প্যাকেজ গুলো দেয় না। তাদের যেসব প্যাকেজ গুলো রয়েছে সেই গুলোর দাম বেশি এবং হাই কনফিগারেশনের প্যাকেজ। কিন্তু তাদের সার্ভিস অত্যান্ত ভালোই হয়ে থাকে। নামকরা কিছু হোস্টিং কোম্পানি গুলো হলোঃ Namecheap, HostGator, SiteGround, BlueHost ইত্যাদি। আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী নিতে পারেন।
অন্যদিকে বাংলাদেশী কয়েকটি হোস্টিং প্রোভাইডার রয়েছে যাদের থেকে সঠিক মূল্যে ভালো মানের হোস্টিং কিনতে পারবেন। এবং তাদেরকে পেমেন্ট করতে পারবেন বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি মোবাইল ব্যাংকিং দিয়ে এবং দেশী কার্ড গুলো অথবা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে। অনেকেই আবার মনে করে বাংলাদেশী হোস্টিং কোম্পানি মানেই খারাপ কিন্তু তা না এখন অনেক ভালো ভালো কোম্পানি রয়েছে যারা কাস্টমারদের সঠিক ভাবে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে। আপনার এই বিষয়টি নিয়ে মার্কেট একটু রিসার্চ করলেই পেয়ে যাবেন।
শেষ কথা হচ্ছে, আপনার যদি ইন্টান্যাশনাল ভাবে পেমেন্ট করার জন্য পেমেন্ট সিস্টেম থাকে এবং সেই সাথে ঐ প্যাকেজ গুলো কেনার মতো টাকা থাকে ও আপনার কেনার ইচ্ছা থাকে তাহলে ইন্টান্যাশনাল প্রোভাইডার গুলো থেকে নিতে পারেন। কিন্তু আপনার যদি এইসব না থেকে থাকে তাহলে সহজে বাংলাদেশি হোস্টিং প্রোভাইডার গুলোর কাছে থেকে নিতে পারেন মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে। কোন ঝামেলা নেয় পেমেন্ট নিয়ে নিজের পছন্দ মতো কোন একটি দিয়ে পেমেন্ট করে কিনতে নিতে পারেন আপনার প্রয়োজনীয় হোস্টিং প্যাকেজটি।
হোস্টিং কেনার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখা উচিত
- যে কোম্পানি থেকে হোস্টিং কিনছেন তাদের কাস্টমারদের অভিজ্ঞতা কেমন।
- কোন সমস্যায় পড়লে কাস্টমারদের সাপোর্ট কেমন দেয়।
- হোস্টিং সার্ভারের স্পিড কেমন।
- সার্ভারের আপ টাইম ঠিক আছে কিনা।
- সিকিউরিটির জন্য কি ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে।
- এবং হোস্টিং প্যাকেজ গুলোর ডিটেইলস মনোযোগ সহকারে পড়া ইত্যাদি।
এই সকল বিষয় সহ আরো কিছু জানার প্রয়োজন থাকে যা আপনাদের সাথে অন্য একটি আর্টিকেলে আলোচনা করবো আপাতো এতোটুকুই।
কিভাবে ডোমেইন কিনতে হয়?
সাধারণত যেসব কোম্পানি হোস্টিং বিক্রি করে তারাই ডোমেইন সেবাটাও বিক্রি করে থাকে। আবার অনেক কোম্পানি রয়েছে তারা শুধু ডোমেইন বিক্রি করে থাকে। আপনি চাইল এক জায়গা থেকে হোস্টিং আরেক জায়গা থেকে ডোমেইন কিনতে পারেন। কিন্তু ভালো হয় যদি একই জায়গাতে ডোমেইন ও হোস্টিং কেনা থাকে এতে আপনি সহজে জিনিস গুলো একই জায়গা থেকে ম্যানেজ করতে পারবেন এবং কোন সমস্যা হলে একই কোম্পানির কাছে সমাধান নিতে পারবেন। আমি আপনাদেরকে দেখাবো একই জায়গা থেকে কিভাবে ডোমেইন ও হোস্টিং কিনতে হয় সেটি দেখাবো।
কিভাবে হোস্টিং কিনতে হয়
কিভাবে ডোমেইন ও হোস্টিং কিনতে হয় সেটি দেখানোর আগে বলতে চাই এই আর্টিকেল স্পন্সর করেছে BDIX Web Hosting যারা উন্নত মানের BDIX হোস্টিং সেবা দিয়ে থাকে ন্যায্য মূল্যে। এখন থেকে আপনাদের কে যেসব টিউটোরিয়াল গুলো প্রকাশ সেইগুলো তাদের সাহায্যের জন্যই। BDIX Hosting কি সেটি যদি না জেনে থাকেন তাহলে আমার এই ব্লগে লেখা আছে সেটি পড়ে আসুন।
আমি যে ওয়েবসাইট টি তৈরি করবো সেটি বাংলাদেশী অডিয়েন্স কে টার্গেট করেছে সেই জন্য BDIX Hosting কে আমি সিলেক্ট করেছি আমার ওয়েবসাইটের জন্য। আপনাদের ওয়েবসাইট টি যদি বাংলাদেশী ভিজিটরকে টার্গেট করে করার ইচ্ছা থাকে তাহলে BDIX Hosting ব্যবহার করতে পারেন। এই একই মধ্যে অন্য সব কোম্পানি থেকে চাইলে হোস্টিং কিনতে পারবেন। আমি bdixwebhosting.com এই কোম্পানিরটির মাধ্যমে দেখাবো কিভাবে ডোমেইন ও হোস্টিং কিনতে হয়।
১। https://bdixwebhosting.com প্রথমে এই ওয়েবসাইট প্রবেশ করুন তারপর আপনার পছন্দ অনুযায়ী একটি প্যাকেজ সিলেক্ট করুন। আমি বিজনেস ক্যাটেগরির ৬জিবির একটি প্যাকেজ সিলেক্ট করেছি। বিজনেস ক্যাটেগরি হোস্টিং কিনতে এই BDIX Business Hosting লিংক ক্লিক করুন। আপনার বাজেট যদি কম থাকে তাহলে Budget Hosting নিতে পারেন এইখানে তিনটি প্যাকেজ রয়েছে Bronze, Gold, Platinum . আপনার বাজেট অনুযায়ী শুরু করতে পারেন যদি বাজেট একবারে কম থাকে তাহলে আপাতত ১জিবির প্যাকেজ Bronze দিয়ে শুরু করেন।
যে প্যাকেজটি নিবেন তার Yearly Plans দেখার জন্য সুইচ বাটনে ক্লিক করে নিবেন। এরপর যে প্যাকেজটি পছন্দ সেটির Purchase বাটনে ক্লিক করুন।
২। নতুন একটি পেজ আসবে এই পেজে আপনার ওয়েবসাইট নাম অর্থাৎ ডোমেইন কি হবে সেটি রেজিস্টার করতে হবে অথবা যদি আপনার আগের কোন ডোমেইন থাকে তাহলে I will use my exiting domain and update my name server এ ক্লিক করে আপনার পুরান ডোমেইনটি বক্সে দিয়ে দিবেন। আর যদি নতুন ডোমেইন রেজিস্টার করতে চান তাহলে Register a new domain থেকে একটি বক্স আছে সেখানে আপনার ওয়েবসাইটের নাম দিন আর পাশে ড্রপ ডাউন থেকে সিলেক্ট করে দিতে পারেন যে ডোমেইন টি কোন এক্সটেনশনের হবে। আমি ডট কম চাই তাই এটি সিলেক্ট থাকা অবস্থায় check এ ক্লিক করবো তারপর যদি ঐ ডোমেইন টি কেউ না নিয়ে থাকে তাহলে আমরা নিতে পারবো। নিচের দিকে একটু স্ক্রল করে দেখুন Continue বাটন আছে ক্লিক করুন।
৩। এখন আপনাকে অর্ডার পেজে নিয়ে আসবে এইখান থেকে আপনার অর্ডার ঠিক আছে কিনা চেক করুন এবং কত টাকা আপনাকে পে করতে হবে সেটি দেখতে পারবেন। Choose Billing Cycle থেকে আপনি কিভাবে পেমেন্ট করবেন সেটি সিলেক্ট করার যাবে আমি এক বারে এক বছরের জন্য কিনবো তাই Annually সিলেক্ট করে Continue করলাম। (Additional Information এ আপনার ওয়েবসাইট কি ধরনের ওয়েবসাইট হবে সেটি ছোট করে লিখে দিয়েন)।
৪। Domain Configuration পেজে এক বছরের জন্য কিছু ফ্রি টুলস দিবে সেই গুলো চাইলে নিতে পারেন। যদি না নিতে চান আনচেক অবস্থায় Continue করুন। আমি যেহেতু নিতে চাচ্ছি সেহেতু Check দিয়ে Continue করলাম।
৫। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ পেজে এইখানে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে যেখানে আপনার সম্পর্কিত কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে। এক এক করে সব তথ্য দিয়ে ফর্ম টি পূরণ করুন। এক জায়গা দেখবেন আপনার NID কার্ডের ইনফরমেশন চাচ্ছি যদি আপনার কার্ড থাকে তাহলে ইনফরমেশন দিয়ে দিন আর যদি না থাকে বার্থ সার্টিফিকেটের নাম্বার ও দিতে পারেন।
৬। এরপর নিচের দিকে আরেকটু স্ক্রল আপনার পেমেন্ট মেথড সিলেক্ট করুন। আমি বিকাশ দিয়ে করবো তাই প্রথম অপশনটি সিলেক্ট করলাম। এবং তাদের টার্মস এন্ড কন্ডিশন Agree করে Complete Order এ ক্লিক করলাম।
৭। এখন আপনাকে পেমেন্ট করতে হবে পেমেন্ট করার জন্য এইখানে অনেক গুলো অপশন আছে এর মধ্যে যেকোন একটি দিয়ে পেমেন্ট সম্পূর্ণ করে দিন। তারপর আপনাকে রিডাইরেক্ট করে হোস্টিং কোম্পানির ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে।
এই ছিল হোস্টিং কেনার পুরো প্রসেসটি এখন আপনার কাজ হলো আপনার অর্ডার এক্টিভ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা। আর একটি কাজ হলো আপনার ইমেইলটি চেক করা ঐ তারা অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন করার জন্য একটি ইমেইল পাঠিয়েছে সেটি ওপেন করে অ্যাকাউন্ট ভ্যারিফাই করে নিন।
ইমেইল গুলো যদি ইনবক্সে না পান তাহলে অবশ্যই Spam সহ অন্যান্য ফোল্ডারে চেক করবেন। কারণ অনেক সময় এই ধরনের ইমেইল গুলো Spam মনে করে Spam ফোল্ডারে দিয়ে দেয়। এছাড়া আপনার অর্ডার আর অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত সকল ধরনের তথ্য তারা ইমেইলের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিবে।
আপনি যদি হোস্টিং ক্রয় করেছেন তার অর্ডার ভেরিফাই করে তারা অ্যাকাউন্ট এক্টিভ করে দিবে এবং আপনার হোস্টিং এর লগিন ডিটেইলস ইমেইলে পাঠিয়ে দিবে। আপনার অর্ডারের বর্তমান অবস্থা দেখার জন্য https://app.bdixwebhosting.com/login এ লগিন করে সেটি দেখতে পারেন। এছাড়াও হোস্টিং ও ডোমেইন ম্যানেজ করার জন্য কিছু অপশন এখানে পাবেন। লগিন করার নিচের স্ক্রিনশটের মতো ড্যাশবোর্ড পাবেন।
উপর স্ক্রিনশটের মতো ড্যাশবোর্ড Services আর Domain নামে অপশন দেখবেন এইখানে ১ লেখা আছে কারণ আমরা একটি হোস্টিং সার্ভিস নিয়েছি আরেকটি ডোমেইন নিয়েছি। এই সার্ভিসের উপর ক্লিক করলে সে সম্পর্কিত কিছু টুলস পাবেন এই গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হবে পরবর্তী পোস্টে। কিভাবে হোস্টিং প্যানেল লগিন করবেন কিভাবে কাজ করবেন সেই সকল বিষয় নিয়ে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হবে।
ততোক্ষণ ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন দেখা হবে পরবর্তী আর্টিকেলে।