Domain and Hosting

ডেডিকেটেড সার্ভার কি? Intrduction with Dedicated Server

হোস্টিং জগতে বিভিন্ন ক্যাটেগরির হোস্টিং সেবা রয়েছে যার অন্যতম একটি হলো ডেডিকেটেড সার্ভার। বর্তমান ডিজিটাল যুগে একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন কেমন পারফরম্যান্স প্রদান করবে তার অনেকটা নির্ভর করে হোস্টিং সেবার উপর। যদি আপনি ওয়েবসাইট সম্পর্কিত কাজ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই জানবেন একটি ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন কেমন সাফল্য অর্জন করবে তা নির্ভর করে তার পারফরম্যান্স, সিকিউরিটি, সবসময় অ্যাক্সেস যোগ্য, এবং নির্ভরযোগ্যতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

Table of Contents

কিন্তু কখনো কখনো সাধারণ হোস্টিং সার্ভিস যেমন শেয়ারড বা ভিপিএস হোস্টিং আপনার চাহিদা মেটা পারে না। তখনই Dedicated Server হোস্টিং সেবা আপনার প্রয়োজন মেটানোর অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠে। কিন্তু আসলে ডেডিকেটেড সার্ভার কি? কেন এটি ব্যবহার করবো, ডেডিকেটেড সার্ভারের প্রকারভেদ সহ আরো বিভিন্ন বিষয় আজকের এই আর্টিকেল।

আর্টিকেল শুরুতে  বলতে চাই যাদের ওয়েবসাইট হোস্টিং নিয়ে তেমন ধারণা নেয় বা আছে কিন্তু একটি ওভারভিউ পেতে চান তারা আমার পূর্বের ব্লগটি পড়ে আসতে পারেন। সেখানে আমি সহজ ভাষায় ওয়েব হোস্টিং কি এবং তার প্রকারভেদ বুঝানোর চেষ্টা করেছি।

আরো পড়ুনঃ ওয়েব হোস্টিং কি? হোস্টিং কত প্রকার – বিস্তারিত আলোচনা।

ডেডিকেটেড সার্ভার কি? | What is Dedicated Server?

ডেডিকেটেড সার্ভার হলো এমন এক ধরনের হোস্টিং সেবা যেখানে উক্ত সার্ভারটি শুধু মাত্র একটি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ । অর্থাৎ একটি ফিজিক্যাল সার্ভার শুধু মাত্র একটি ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশনের জন্য বরাদ্দ অথবা কোন একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির জন্য সার্ভারের রিসোর্স গুলো বরাদ্দ থাকে যা অন্য কোন ইউজারকে ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না।

সার্ভারের রিসোর্স যেমন CPU, RAM, Processor, Storage, Internet Connectivity ইত্যাদি শুধু মাত্র আপনি ব্যবহার করেতে পারবেন, অন্য কেউ নয়। উক্ত সার্ভারে আপনার পুরোপরুই নিয়ন্ত্রণ থাকবে, এই সার্ভারটি আপনি কিভাবে ব্যবহার করতে চান তা সম্পন্ন আপনার উপর নির্ভর করে।

ডেডকিকেট সার্ভার কি সেটি আমরা Dedicated Server এই দুটি ওয়ার্ড ভালো করে খেয়াল করলে বুঝতে পারবো। আমরা জানি, Dedicated শব্দের অর্থ হলো উৎসর্গ , উৎসর্গকৃত, নির্দিষ্ট বা একক ভাবে নির্ধারিত। অপরদিকে সার্ভার হলো একটি বিশেষ কম্পিউটার বা সিস্টেম যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন পুরো বিশ্বে মানুষের কাছে তথ্য সরবরাহ করে।

পরিশেষে বলতে পারি, Dedicated Server বলতে এমন একটি Server কে বোঝানো হয় যা সম্পূর্ণভাবে একজন ব্যবহারকারীর জন্য নির্ধারিত থাকে। এটি অনেক শক্তিশালী, নিরাপদ এবং কাস্টমাইজেশনের জন্য উপযুক্ত।

কেন ডেডিকেটেড সার্ভার প্রয়োজন হয়?

সাধারণ যেসব ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যেখানে অল্প পরিসরে ভিজিটর আসে সেক্ষেত্রে একটি শেয়ারড হোস্টিং অথবা ভিপিএস হোস্টিং দিয়ে অনেকের প্রয়োজন মিটে যায়। কিন্তু কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে যেখানে আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক অনেক বেশি সেখানে Shared Hosting বা  VPS Hosting সম্পূর্ণ চাহিদা পূরণ করতে পারে না। এই সময় দেখা যায় ওয়েবসাইট ডাউন হয়ে যায়, কেউ কেউ অ্যাক্সেস করতে পারে কেউ কেউ পারে না ইত্যাদি সমস্যা হয়।

আবার ধরুন, আপনি এমন একটি ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন বানিয়েছেন সেটির জন্য, যেখানে হোস্ট করবেন সেই সার্ভারটি আপনার মতো কাস্টমাইজেশন করার প্রয়োজন পড়ছে। যেমন নিজের ইচ্ছা মতো অপারেটিং সিস্টেম, সফটওয়্যার, সার্ভার কনফিগারেশন ইত্যাদি করতে চান।

সেক্ষেত্রে আপনি শেয়ারড হোস্টিং দিয়ে কাজ চালাতে পারবেন কারণ শেয়ারড হোস্টিং আপনাকে সেই সুবিধা দিবে না। কারণ হোস্টিং কোম্পানি শেয়ারড সার্ভিস আকারে তাদের ডেডিকেটেড সার্ভার কে কনফিগারেশন করেছে যাতে বিভিন্ন ইউজারকে সার্ভিস দিতে পারে। আপনার জন্য তারা কখনো সার্ভার নির্দিষ্ট পরিবর্তন ঘটাতে যাবে না।

এই সমস্যাটি সমাধান ভিপিএস হোস্টিং ব্যবহার করা হয়ে থাকলে এটিও অনেক ক্ষেত্রে পুরোপুরো ডেডিকেটেড সার্ভারের সুবিধা দিতে পারে না। কারণ ভিপিএস সার্ভার ও একটি ডেডিকেটেড সার্ভারের উপর ভার্চুয়াল ভাবে তৈরি হয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনি ডেডিকেটেড সার্ভারের রিসোর্স কিছু অংশ পেয়ে থাকেন।

ঠিক এই সময় এসে, আমাদের ডেডিকেটেড হোস্টিং সার্ভারের প্রয়োজন পড়ে। যেখানে সম্পূর্ণ সার্ভার জুড়ে থাকবে আপনার নিয়ন্ত্রণ থাকবে, আপনি যা ইচ্ছা এই সার্ভারের সাথে করতে পারনে। সার্ভারের সম্পূর্ণ রিসোর্স Processor, RAM, Stroage, Internet সব কিছুই হবে শুধু মাত্র আপনার জন্য, তবে আপনি চাইলে সেটি অন্যকে শেয়ার করতে পারেন।

বিষয়টা তে আরেকবার আসি ধরুণ আপনি একটি ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করছেন যেখানে আপনি আপনার নিজের পছন্দের অপারেটিং সিস্টেম সেটি হতে পারে Linux বা Windows, পছন্দে ওয়েব সার্ভার Apace, Nginx, LiteSpeed, পছন্দের ডাটাবেস সফটওয়্যার অথবা অন্য কিছু ব্যবহার করার প্রয়োজন এবং সেই সাথে ভালো পারফরম্যান্স লাগবে যেন অনেক ভিজিটর সামাল দিতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ডেডিকেটেড সার্ভারকে নির্বাচইন করতে হবে।

ডেডিকেটেড সার্ভার সুবিধা সমূহ

একটি ডেডিকেটেড সার্ভার ব্যবহার সুবিধা অনেক রয়েছে তার মধ্যে কিছু মূল সুবিধা বা ফিচার গুলো নিচে সংক্ষেপে দেওয়া হলোঃ

১। Full Control & Customization

ডেডিকেটেড সার্ভার ব্যবহার করলে সম্পূর্ণ সার্ভার জুড়ে আপনার নিন্ত্রয়ণ থাকবে। আপনার প্রয়োজনমতো অপারেটিং সিস্টেম, সফটওয়্যার, ডাটাবেস ইত্যাদি সহজেই ব্যবহার করতে পারেবন। এক কথায় আপনার প্রয়োজনমতো হোস্টিং এনভায়রনমেন্ট রেডি করে নিতে পারবেন। আপনার ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন চালানোর জন্য যে কনফিগারেশন করার প্রয়োজন সেটি সহজেই করতে পারবেন

২। Dedicated Resources

শেয়ারড হোস্টিং এর মতো সার্ভার রিসোর্স অন্য কারো সাথে ভাগাভাগি করতে হয় না। আপনার ক্রয় করা ডিডেকেটেড সার্ভারের রিসোর্স সমূহ যেমন Processor, RAM, Storage, IP Address সহ সকল কিছু শুধু মাত্র আপনার জন্য নির্ধারণিত থাকবে।

৩। High Perfomance

যেহেতু ডেডিকিটেড সার্ভারের রিসোর্স শেয়ার করার প্রয়োজন হয় না, সার্ভারে হোস্ট করা ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশনের গতি ও পারফরম্যান্স অনেক ভালো হয়ে থাকে। যে কারণে এটি অনেক পরিমাণের ভিজিটর অর্থাৎ প্রচুর ট্রাফিক সামাল দিতে সক্ষম।

৪। Root Access

সহজ ভাষায় রুট অ্যাক্সেস বলতে সার্ভারের সর্বোচ্চ ক্ষমতাকে বোঝানো হয়েছে। এটি দ্বারা আপনি সার্ভারের যেকোন ধরেনের পরিবর্তন, কনফিগারেশন, অন্যান্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ইনস্টল করতে পারবেন।

৫। Scalibilty & Reliability

স্কেলেবিলিটি একটি সার্ভারের ক্ষমতা বৃদ্ধি বা কমানোর সুবিধাকে বলা হয়ে থাকে। আপনার বর্তমান ডেডিকেটেড সার্ভারের রিসোর্স যদি আপনার ট্রাফিক হ্যান্ডেল বা নির্দিষ্ট কিছু করতে সক্ষম না হয় তখন আপনি খুব সহজেই আপনার সার্ভারের রিসোর্স গুলো বাড়িয়ে নিতে পারবেন। অন্যদিকে রিলায়েবিলিটি বলতে বোঝায় একটি সার্ভারের নির্ভরযোগ্যতা বা নিরবচ্ছিন্নভাবে সার্ভিস প্রদানের সক্ষমতা। আর ডেডিকেটেড সার্ভারের রিলায়েবিলিটি বেশি হয়ে থাকে কারণ রিসোর্স এক ইউজার ব্যবহার হলে সার্ভার ডাউন হওয়ার বিষয়টা কমে আসে।

৬। Fast Loading Speed

ডেডিকেটেড সার্ভারের ব্যবহৃত হার্ডওয়্যার অনেক শক্তিশালী হয়ে থাকে এবং এটি সম্পূর্ণ একক ভানবে ব্যবহার করার ফলে আপনার ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশনের গতি হবে দুর্দান্ত। এতে করে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর যেমন ভালো অভিজ্ঞতা ভাবে ঠিক তেমনি SEO এর ক্ষেত্রে ভালো র‍্যাংকিং পেতে সাহায্য করবে।

৭। Robust Security

সার্ভারের নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণ শুধু একক ব্যবহারকারীর কাছে থাকার কারণে এটি অনেক সিকিউর হয়ে থাকে। শেয়ারড সার্ভারের প্রযুক্তি যতই ভালো হয়ে থাকুক কিন্তু একটি রিস্ক থেকে যায় সার্ভার অনেক জন ব্যবহার করে আর কোন এক ইউজার থেকে সার্ভারের কিছু হলে ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকে।

কিন্তু যেহেতু সার্ভারে শুধু আপনার অ্যাক্সেস থাকবে সেহেতু আপনি এটি ব্যবহার করবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে অত্যাধুনিক সিকিউরিটির জন্য ফায়ারওয়াল, সিকিউরিটি সফটওয়্যার ইন্সটল করতে পারেন। আপনার সার্ভারের অ্যাক্সেস শুধু মাত্র আপনার কাছে থাকার কারণে ডেটা অনেক সুরক্ষিত থাকবে।

উপরে ডেডিকেটেড সার্ভারের কোর ফিচার বা সুবিধা গুলো সংক্ষেপে বলা হয়েছে। এছাড়াও অনেক সুবিধা আছে একটি ডেডিকেটেড সার্ভারের যা ব্যবহার করতে গেলে সে অভিজ্ঞতা গুলো পেয়ে যাবেন।

ডেডিকেটেড সার্ভারের চ্যালেঞ্জ বা অসুবিধা

  • অন্যান্য হোস্টিং সার্ভিসের তুলনায় ডেডিকেটেড সার্ভারের সুবিধা বেশি হওয়াতে এটির দাম অনেক বেশি।
  • সার্ভার ম্যানেজমেন্ট করার জন্য অবশ্যই এই সম্পর্কিত টেকনিক্যাল জ্ঞান প্রয়োজন পড়বে।
  • নিয়মিত সার্ভার মনিটর করার প্রয়োজন রয়েছে। সার্ভার সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা নিশ্চিত করে সার্বক্ষণিক নজদারির প্রয়োজন রয়েছে।

ডেডিকেটেডের সার্ভারের খরচ

আসলে ডেডিকেটেড সার্ভারের চার্জ কোন অসুবিধা মধ্যে পরে না। কথায় আছে জিনিস যেটা ভালো দাম তার একটু বেশি। আপনি একটি সম্পূর্ণ হাই পাওয়ার সার্ভার একাই নিচ্ছেন তার জন্য তো দাম দিতে হবে। যত গুড় দিবেন তত শরবত মিষ্টি হবে। আপনি কেমন কনফিগারেশনের সার্ভার নিচ্ছেন সেই হিসাবে আপনাকে প্রত্যেক মাসে সার্ভারের ভাড়া দিতে হবে।

সাধারণত একটি ডেডিকেটেড সার্ভারের ভাড়া মাসে ১০,০০০+ টাকার বেশি হয়ে থাকে। এই অ্যামাউন্ট বা এর চেয়ে বেশি অ্যামাউন্ট ব্যাপার হবে না যারা আসলেই ডেকিটেড সার্ভার নিতে চাই। কারণ তার প্রচুর ট্রাফিক আছে তার বিজনেসও ভালো এতে তার বিজনেস ভালো চলার জন্য কোয়ালিটি এবং পাওয়ারফুল সার্ভারে খরচ করতে দ্বিধা হওয়া কথা না।

ডেডিকেটেড সার্ভারের ব্যবহার

একটি Dedicated Server বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন রকম কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে তার মধ্যে কিছু কারণ নিচে উল্লেখ্য করা হলোঃ

১। হাই ট্রাফিকযুক্ত ওয়েবসাইটঃ যেসব ওয়েবসাইটের ভিজিটর অনেক হয়ে থাকে যেমন ই-কমার্স সাইট, ব্লগ বা নিউজ পোর্টাল, ই-সেবা পোর্টাল ইত্যাদ ধরনের ওয়েবসাইটের জন্য Dedicated Server ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

২। গেম সার্ভার হোস্টিংঃ বিভিন্ন অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্ম ম্যানেজ করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

৩। ডাটাবেসঃ ডেডিকেটেড ভাবে ডাটাবেস সফটওয়্যার চালানোর জন্যও এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

৩। কর্পোরটে অ্যাপ্লিকেশন হোস্টিংঃ ERP, CRM, Billing Software সহ বিভিন্ন ধরনের ডেটা অ্যানালাইসিস অ্যাপ্লিকেশন চালানোর জন্য।

৪। হোস্টিং বিজনেসঃ যারা নিজে হোস্টিং বিজনেস করতে চাই তারাও Dedicated Server ভাড়া নিয়ে ক্লায়েন্টের কাছে সেল করে থাকে শেয়ারড হোস্টিং হিসাবে।

৫। ক্লাউড স্টোরেজঃ গুগল ড্রাইভের মতো অনলাইন স্টোরেজ সিস্টেম মতো নিজের একটি প্রাইভেট স্টোরেজ হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

৬। ইমেইল সার্ভার হোস্টিংঃ বিভিন্ন কর্পোরেট কোম্পানি ইমেইল সার্ভার বা সফটওয়্যার চালানোর জন্য ব্যবহার করে থাকে।

৭। ব্যাকআপ ও রিকভারি সার্ভারঃ নিজেদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ডেটা নিরাপদ রাখার জন্য ব্যাকাপ ও রিকভারি সার্ভার হিসাবেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

৮। ভিডিও স্ট্রিমিং ও লাইভ ব্রডকাস্টিংঃ বড় সাইজের ভিডিও গুলো হোস্ট করার জন্য ও লাইভ ব্রডকাস্টিংয়ে ব্যবহার হয়।

৯। ডেভেলপমেন্ট ও টেস্টিং প্ল্যাটফর্মঃ সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি তাদের বিভিন্ন প্রজেক্ট টেস্টিং করার জন্য ডেডিকেটেড সার্ভার কিনে থাকে।

১০। অ্যাপ হোস্টিংঃ স্মার্টফোনের বিভিন্ন অ্যাপের ব্যাকএন্ড সার্ভার হোস্ট করার ক্ষেত্রে ডেডিকেটেড সার্ভারের ব্যবহার রয়েছে।

ডেডিকেটেড সার্ভারের প্রকারভেদ

সার্ভিস ও টেকনোলজির উপর ভিত্তি করে হোস্টিং কোম্পানি চার প্রকারের ডেডিকেটেড সার্ভার দিয়ে থাকে।

  1. লিনাক্স ডেডিকেটেড সার্ভার (Linux Dedicated Server)
  2. উইন্ডোজ ডেডিকেটেড সার্ভার (Windows Dedicated Server)
  3. আনম্যানেজড ডেডিকেটেড সার্ভার (Unmanaged Dedicated Server)
  4.  ম্যানেজ ডেডিকেটেড সার্ভার (Managed Dedicated Server)

১। লিনাক্স ডেডিকেটেড সার্ভার (Linux Dedicated Server)

যখন কোন ডিডেকিটেড সার্ভার লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে দেওয়া হয় তখন সেটিকে Linux Dedicated Server বলা হয়ে থাকে। লিনাক্স ওপেনসোর্স হওয়াতে এটি সার্ভারের জন্য খুবই জনপ্রিয় একটি অপারেটিং সিস্টেম, যার অনেক ডিস্ট্রো রয়েছে যেমনঃ Ubutnu, Cent OS, Amla Linux, Debian  ইত্যাদি।

২। উইন্ডোজ ডেডিকেটেড সার্ভার (Windows Dedicated Server)

কোন Dedicated Server মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা চালিত হয়ে থাকলে Windows Dedicated Server বলা হয়ে থাকে। মূলত গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস থাকার কারণে খুব সহজে কমান্ড লাইনের তেমন দক্ষতা ছাড়াই সার্ভার ম্যানেজমেন্ট করা যায়। কিন্তু উইন্ডোজ সার্ভারের অপারেটিং সিস্টেমের জন্য লাইসেন্স ক্রয় করতে হয়।

মুলত উইন্ডোজ ভিত্তিক প্রজেক্ট যেমন ASP.NET দিয়ে তৈরি করা ওয়েবসাইট, অ্যাপ্লিকেশন বা মাইক্রোসফট SQL Server অথবা অন্যান্য উইন্ডোজ-ভিত্তিক সফটওয়্যার হোস্ট করার জন্য উইন্ডোজ ডেডিকেটেড সার্ভার ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

৩। আনম্যানেজড ডেডিকেটেড সার্ভার (Unmanaged Dedicated Server)

যে ডিডেকেটেড সার্ভার ব্যবহারকারীর নিজে পরিচালনা ও রক্ষাণাবেক্ষণ করতে হয় সেটিকে মূলত Unmanaged Server বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ সার্ভারের অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করা থেকে কনফিগারেশন করা পর্যন্ত সকল ধরনের কাজ গুলো কাস্টমারদের নিজে করতে হয়।

৪। আনম্যানেজড ডেডিকেটেড সার্ভার (Unmanaged Dedicated Server)

যখন আপনার হয়ে কোম্পানি আপনার চাহিদা মতো বা নির্দিষ্ট ভাবে ডেডিকেটেড সার্ভার পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে তখন সেটিকে Managed Dedicated Server বলা হয়ে থাকে। আপনি যদি ডেডিকেটেড সার্ভার নিয়ে তেমন ভালো টেকনিক্যাল দক্ষতা বা জ্ঞান না রাখেন তাহলে Managed Dedicated Server আপনার জন্য বেস্ট একটি চয়েস।

আপনার ডেডিকেটেড সার্ভারের ভাড়ার সাথে অতিরিক্ত কিছু সার্ভিস চার্জ নেওয়া হবে যখন আপনি ম্যানেজড ডেডিকেটেড সার্ভার ক্রয় করবেন। তখন তারা আপনার প্রয়োজন মতো সার্ভারে অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল দেওয়া থেকে শুরু করে কনফিগারেশন করে দিবে। আপনার কাজ হবে শুধু আরামছে ওয়েবসাইট চালানো।

আশা করি, উক্ত আর্টিকেল থেকে আপনার ডেডিকেটেড সার্ভার সম্পর্কে ভালো একটি ধারণা পেয়েছেন। আমার ছোট জ্ঞান এবং রিসার্চ থেকে আর্টিকেলটি লেখেছি তাই ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর্টিকেল ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন।

আপনি কি বাংলাদেশের মধ্যে সেরা ডেডিকেটেড সার্ভার প্রোভাইডার খুঁজছেন?

আপনি কি ব্যবসা, ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপ্লিকেশনের জন্য বাংলাদেশের মধ্যে উন্নতমানের ও পাওয়ারফুল ডেডিকেটেড সার্ভার খুঁজচ্ছেন? তাহলে Alpha Net হতে পারে আপনার জন্য একটি সেরা চয়েস।

আলফা নেট গত ২৪+ বছর ধরে বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে উন্নতমানের ক্লাউড ও টেকনোলজি সলিউশন দিয়ে আসছে। তাদের সার্ভিস গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ডেডিকেটেড সার্ভার। বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারি  প্রতিষ্ঠান আলফা নেট থেকে ডেডিকেটেড সার্ভার নিয়ে সন্তুষ্টির সাথে ব্যবহার করছেন।

আলফা নেট কে কেন বেছেন নিবেন ডেডিকেটেড সার্ভার নেওয়ার জন্য?

  • Own Infrascture: আলফা নেট বাংলাদেশ ও আমেরিকার Tier-3 এবং Tier-4 ডাটা সেন্টারের মাধ্যমে নিজস্ব ডেডিকেটেড সার্ভার প্রদান করে থাকে। যা আপনাদেরকে বেস্ট পারফরম্যান্স ও রিলাইবেলিটি প্রদান করবে।
  • Powerful Hardware: আলফা নেট উন্নতমানের লেটেস্ট হার্ডওয়্যার ও টেকনোলজি ব্যবহার ডেডিকেটেড সার্ভার প্রদান করে থাকে যা আপনার ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশনের জন্য দূর্দান্ত পারফরম্যান্স দিবে। তাদের সার্ভারে রয়েছে Intel E5-V4 dual Processor with up to 28 Physical Core and 56 Logical Core,  512 GB RAM ECC Registered,  RAID 10 NVMe SSD Storage ইত্যাদি।
  • 99.9% Uptime: আপনার ডেডিকেটেড সার্ভারের জন্য পান ৯৯.৯% আপটাইম গ্যারান্টি। এটি নিশ্চিত করে যে আপনার ওয়েবসাইট বা ব্যবসায় ডাউনটাইমের ঝুঁকি থাকবে খুবই কম।
  • BDIX & Gbps Connectivity: আলফা নেট তাদের সার্ভারের জন্য BDIX ও Gbps ইন্টারনেট কানেকশন স্পিড প্রদান করে। BDIX সংযোগ বাংলাদেশের মধ্যে ওয়েবসাইট দ্রুত লোড করতে কার্যকরী এবং কম লেটেন্সি নিশ্চিত করে। এছাড়া আন্তর্জাতিক সংযোগের জন্য রয়েছে গিগাবিট উচ্চ গতির ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি।
  • 24/7 Customer: আপনার যেকোন ধরনের প্রশ্ন, সমস্যা সমাধন ইত্যাদির জন্য আলফা নেটের রয়েছে দক্ষ কাস্টামার সাপোর্ট টীম যারা ২৪/৭ এক্টিভ রয়েছে।

এছাড়া আরো অন্যান্য সুবিধা তো রয়েছেই, তাদের ডেডিকেটেড সার্ভার নেওয়ার জন্য  অথবা যেকোন প্রশ্ন থাকলে তাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে যোগাযোগ করুন।

Buy a Dedicated Server from Alpha Net Today!

 

MD Biplop Hossain

আমি মোঃ বিপ্লব হোসেন। নিজেকে আমি একজন প্রযুক্তি প্রেমী মানুষ হিসাবে পরিচিত দিতে বেশি পছন্দ করি। আমি শিখতে ও শেখাতে পছন্দ করি তাই নিজের এই ছোট্ট ব্লগের মাধ্যমে ইন্টারনেটে বাংলায় প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল উপহার দেওয়ার চেষ্টা করছি। বর্তমানে আমি ফ্রন্টএন্ড ডেভেলপার হিসাবে একটি আইটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছি।

2 Comments

  1. Dedicated Server সম্পর্কে জেনে অনেক উপকৃত হলাম। Thank you Biplop

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!