কিভাবে অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করবেন
আপনি কি নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে চান? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। ভোটার আইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) আমাদের প্রত্যেকের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট, কারণ এটি আমাদের জাতীয়তার পরিচয় দেয় এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজে আসে, যেমন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, সিম কার্ড নিবন্ধন, সরকারি সুযোগ-সুবিধা, পাসপোর্ট ও ভিসার আবেদন, জমি বেচা-কেনা ইত্যাদি। NID কার্ড একজন নাগরিকের পরিচয়ের প্রমাণপত্র হিসেবে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় এবং এটি প্রতিটি নাগরিকের একটি মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ নথি।
কিন্তু দুঃখজনক হলো, জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন করার সময় অনেক তথ্য ভুল হয়ে যায়, যার ফলে পরবর্তীতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সাধারণত গণভোটারের কার্যক্রমে আবেদন করার সময় এই ধরনের ভুল বেশি লক্ষ্য করা যায়। যেমন, কারো নামের বানান ভুল, কারো বাবা-মায়ের নামের বানান ভুল, জন্মতারিখ ভুল ইত্যাদি।
বর্তমানে ভোটার হওয়া বা জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়ে গেছে। এখন আমরা ঘরে বসেই ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন ফর্ম পূরণ করতে পারি এবং নির্ভুলভাবে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করে জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে পারি। এই আর্টিকেলে আমি অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন থেকে শুরু করে কী কী কাগজপত্র প্রয়োজন, সেসব বিষয় আপনাদের জানাবো এবং দেখাবো যাতে আপনি সহজেই জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন করতে পারেন।
সঠিকভাবে ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ুন। যদি এই বিষয়ে আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে, তবে অবশ্যই কমেন্ট করুন অথবা ফেসবুকে আমাকে মেসেজ করতে পারেন। আমি যথাসাধ্য আপনাদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করার চেষ্টা করবো।
ভোটার আবেদন করার যোগ্যতা
নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আপনার বয়স সর্বনিম্ন ১৬ বছর হতে হবে এবং অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। আপনার বয়স ১৬ বা তার বেশি হলে আপনি ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন, তবে ভোট দেওয়ার যোগ্য হওয়ার জন্য আপনার বয়স অবশ্যই ১৮ বছর হতে হবে।
অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন প্রক্রিয়া
নতুন ভোটার হওয়ার জন্য যে ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে তা সংক্ষেপে দেওয়া হলোঃ
১। প্রথমে আপনাকে অনলাইনে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে।
২। দ্বিতীয় ধাপে অনলাইনে পূরণকৃত ফর্মটি ডাউনলোড করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে।
৩। তৃতীয় ধাপে, সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে আপনার এলাকার কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদ, বা পৌরসভায় গিয়ে জমা দিতে হবে। তারা প্রয়োজনীয় সিল, স্বাক্ষর ও কাগজপত্র সংযুক্ত করে আপনার জন্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।
৪। চতুর্থ ধাপে, সব কাগজপত্র নিয়ে নিকটস্থ নির্বাচন কমিশন অফিসে যেতে হবে। সেখানে তারা আপনার বায়োমেট্রিক নিবে এবং ছবি তুলবে, যা দিয়ে আপনার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে। কোন দিন এবং কয়টায় আপনাকে অফিসে যেতে হবে তা অনলাইন ফর্ম পূরণের পর যথা সময়ে জানানো হবে।
৫। আপনার আবেদন করা সমস্ত ডকুমেন্ট সঠিক মনে হলে, তারা আপনাকে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত করবে এবং পরবর্তীতে মেসেজের মাধ্যমে আপনার আইডি কার্ডের নম্বর প্রদান করবে। এরপর আপনি ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন।
নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে?
নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আপনার যেসব কাগজপত্র প্রয়োজনঃ
১। NID কার্ডের জন্য অনলাইনে পূরণকৃত ফর্মের প্রিন্ট কপি
২। PSC/JSC/SSC পরীক্ষার সার্টিফিকেট অথবা সর্বশেষ শিক্ষাগত সনদ (অনলাইনে ফর্ম পূরণের সময় যে সনদটি নির্বাচন করবেন, তার ফটোকপি জমা দিতে হবে)
৩। ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ (বয়স প্রমাণের জন্য)
৪। পাসপোর্ট / ড্রাইভিং লাইসেন্স / TIN – (বয়স প্রমাণের জন্য)
নোট: যদি এসব ডকুমেন্ট না থাকে, তবে শুধুমাত্র জন্ম নিবন্ধন সনদ থাকলেই চলবে।
৫। ইউটিলিটি বিলের কপি/বাড়ি ভাড়ার রশিদ/হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ – (ঐ এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাসের প্রমাণ)
নোট: আপনার যদি নিজের বাড়ি না থাকে বা আপনার নামে ইউটিলিটি বিল না থাকে, তবে কোনো সমস্যা নেই। আপনি যে বাড়িতে ভাড়া থাকেন বা যার বাড়িতে থাকেন, তার বিদ্যুৎ বিলের কপি দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে যাঁর ডকুমেন্ট দিচ্ছেন, অবশ্যই তাঁর NID কার্ডের ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে।
৬। নাগরিকত্বের সনদ
নোট: এটি আপনি আপনার এলাকার চেয়ারম্যান বা ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।
৭। বাবা-মায়ের NID কার্ডের ফটোকপি
নোটঃ নাগরিকত্বের সনদপত্র এবং সিল-স্বাক্ষর আগে চেয়ারম্যান বা কাউন্সিলরের কাছ থেকে সংগ্রহ করা যেত, কিন্তু বর্তমানে স্থানীয় সরকার না থাকার কারণে এগুলো আপনাকে পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সংগ্রহ করতে হবে। এই ডকুমেন্টগুলো থাকলেই আপনি ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তবে একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে, অনলাইনে ফর্ম পূরণের সময় যদি কোনো বিশেষ ফিল্ড পূরণ করেন, তবে সেই ফিল্ডের প্রমাণস্বরূপ ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ: ফর্ম পূরণের সময় যদি স্বামী/স্ত্রী ফিল্ড পূরণ করেন, তবে আপনাকে স্বামী/স্ত্রীর ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি দিতে হবে। আশা করি বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে, এবং কী ধরনের ডকুমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে, তাও বুঝতে পেরেছেন।
অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করার পদ্ধতি
জাতীয় পরিচয়পত্র প্রত্যেকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি, এবং এটি সঠিক হওয়া অত্যন্ত জরুরি। ভবিষ্যতে সরকারি চাকরি বা অন্যান্য কাজে NID-এর তথ্য শিক্ষাগত সনদের সঙ্গে মিল থাকার প্রয়োজন হয়। যদি তথ্যগুলোতে কোনো অসামঞ্জস্য থাকে, তবে ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে। এজন্য ফরম পূরণের সময় যথাসম্ভব স্কুল বা কলেজের সার্টিফিকেট অনুসারে সব তথ্য পূরণ করার চেষ্টা করবেন, এতে আইডি কার্ডে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন করার জন্য নিচের পদক্ষেপগুলো ভালোভাবে সম্পন্ন করুনঃ
আপনি যদি কম্পিউটার থেকে ফর্ম পূরণ করতে চান, তাহলে অবশ্যই অভ্র কীবোর্ড সফটওয়্যারটি ব্যবহার করবেন। মোবাইলে যেকোনো বাংলা কীবোর্ড দিয়ে কাজ করতে পারবেন, তবে Redmik Keyboard ব্যবহার করলে ভালো হয়।
১। প্রথমে কম্পিউটার বা মোবাইলের মাধ্যমে ব্রাউজারে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ এ প্রবেশ করুন। এরপর “আবেদন করুন” বাটনে ক্লিক করুন।
২। এই ধাপে, সঠিক তথ্য দিয়ে ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। এজন্য আপনার ডকুমেন্ট অনুযায়ী নাম, জন্ম তারিখ এবং ক্যাপচা পূরণ করে “বহাল” বাটনে ক্লিক করুন।
৩। এরপর আপনাকে একটি মোবাইল নম্বর দিতে হবে। এই নম্বরে আপনার NID কার্ড সম্পর্কিত সব আপডেট পাঠানো হবে এবং ভবিষ্যতে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন বা কোনো কাজ করার প্রয়োজন হলে এই নম্বর কাজে লাগবে। সঠিক নম্বর দিয়ে “বার্তা পাঠান” বাটনে ক্লিক করুন।
৪। কিছুক্ষণ মধ্যে আপনার নম্বরে একটি কোড আসবে। সেটি যাচাইকরণ কোডের ঘরে দিয়ে “বহাল” বাটনে ক্লিক করুন। যদি কোড না আসে, তাহলে “পুনরায় পাঠান” বাটনে ক্লিক করুন।
৫। এই ধাপে আপনাকে ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাকাউন্ট করতে হবে। এবং এই তথ্য গুলো অবশ্যই কোথাও লিখে রাখবেন কারণ এটি পরবর্তীতে আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য লাগবে বা পরবর্তীতে অন্য কাজেও লাগতে পারে তাই ভালো ভাবে ইউজারনেম পাসওয়ার্ডটি সংরক্ষণ করে রাখুন। অনেকেই ইউজারনেম জিনিসটি হয়তো বুঝবেন না এটি আসলে একটি ইউনিক নাম যা প্রত্যেকটা ইউজার কে আলাদা ভাবে চেনার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ইউজারনেম দেওয়ার সময় শুধু আপনার নাম লিখলে হবে না, এমন কিছু দিতে হবে আগে কখনো এই নামটি দেয় নি। এইজন্য আপনার নামের সাথে ইউনিক শব্দ বা নাম্বার ব্যবহার করতে পারেন যেমনঃ alamin101, alaminpk3, minhaz43 ইত্যাদি।
৬। অ্যাকাউন্ট হওয়ার পর নিচের স্ক্রিনশটের মতো দেখতে পারবেন এইখান থেকে “প্রোফাইল” বাটনে ক্লিক করুন।
৭। এখন আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য, এবং ঠিকানা সঠিকভাবে পূরণ করুন। এর জন্য “এডিট” বাটনে ক্লিক করুন।
৮। এই ধাপে আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য গুলো দিয়ে ফর্মটি সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে। এইখানে যে ঘর গুলো তে * চিহ্ন রয়েছে সেগুলো আপনাকে অবশ্যই দিতে হবে বাকি গুলো না দিলেও চলবে। এরপর “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন।
৯। এখানে আপনার সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, পেশা, এবং ধর্ম পূরণ করে “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন।
১০। ভোটার হওয়ার আবেদন ফর্মের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ঠিকানা অংশ। এটি সাবধানতার সাথে পূরণ করতে হবে। এখানে আপনার স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা দিতে হবে এবং কোন ঠিকানায় ভোটার হতে চান সেটিতে চেক মার্ক দিতে হবে। আপনার স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা একই হলো দুই জায়গাতে একই ঠিকানা দিবেন।
এইখানে আপনার জন্য পাড়া বা মহল্লা লিস্টে না দেখায় তা ড্রপ-ডাউন মেনু থেকে অন্যান্য সিলেক্ট করে লিখে দিতে পারবেন। এই অংশটি পূরণ করার জন্য আপনি আপনার বাবা-মা অথবা এমন কেউ যে উক্ত এলাকায় ভোটার তার আইডি কার্ড নিয়ে এসে সে কিভাবে ঠিকানা দিয়েছে সেটি দেখতে পারেন এতে আশা করা যায় এই অংশটি পূরণ করতে আপনার অনেক সহায়তা হবে।
তারপরেও যদি কোন প্রশ্ন থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। সবকিছু সঠিকভাবে পূরণ হয়ে গেলে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
১১। অনলাইনে কোনো কাগজপত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই, এখন “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন। সব তথ্য যাচাই করে “সাবমিট” বাটনে ক্লিক করুন।
১২। সর্বশেষ ধাপে “ডাউনলোড” বাটনে ক্লিক করে আপনার ভোটার হওয়ার আবেদন ফর্মটি ডাউনলোড করুন।
এইভাবে সকল ধাপ সঠিক ভাবে সম্পন্ন করলে আপনার নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন সঠিকভাবে সাবমিট হবে। এরপর পরবর্তী আপনাকে ডাউনলোড করা ফাইলটি কোন কম্পিউটারের দোকানে নিয়ে গিয়ে প্রিন্ট করে নিয়ে আসবে এবং সাথে অন্যান্য ডকুমেন্ট যা ভোটার হওয়ার জন্য প্রয়োজন তা নিয়ে কাউন্সিলার/চেয়্যারমান/ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে উক্ত ব্যক্তিদের কাছে থেকে সীল স্বাক্ষর নিয়ে আসতে হবে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস করতে হবে, আপনার ভোটার ফর্মের শনাক্তকারীর স্বাক্ষরের একটি জায়গা আছে এইখানে আপনার এলাকার বা আপনার বাবা-মা বা যে কারো একজনের NID নাম্বার বসাতে এবং স্বাক্ষর করতে হবে। যদি আপনার বাবা-মাকে শনাক্তকারী না করে থাকেন তাহলে যে ব্যক্তিকে করেছেন তার NID কার্ডের ফটোকপি অবশ্যই যুক্ত করতে হবে।
এরপর আপনাকে খুব তারাতারি মেসেজের মাধ্যমে জেনে দেওয়া হবে কোন দিন এবং কয়টার সময় আপনাকে যেতে হবে। মেসেজ পাবার পর আপনাকে ঐ সকল ডকুমেন্ট গুলো নিয়ে নির্বাচন কমিশন অফিসে বা যেখানে যেতে বলবে ঐ জমা দিতে হবে। এরপর তারা আপনার ফটো ও বায়োমেট্রিক নিয়ে আপনাকে বিদায় দিবে এবং তার কিছু দিন পর আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি হলে মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দিবে।
আশা করি, আপনারা যারা অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে চাচ্ছেন অর্থ্যাৎ জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করতে চাচ্ছেন তাদের অনেক উপকার আসবে। আমি এই আর্টিকেলটি নিজ বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছি যেন আপনার সহজেই ভোটার আইডি কার্ডের জন্য অনলাইনে সহজেই নির্ভুল ভাবে আবেদন করতে পারেন।
ভোটার আইডি কার্ড সম্পর্কিত কমন কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি করার সময় আপনাদের মনে অনেক প্রশ্ন আসে, এর মধ্যে কমন যে প্রশ্ন গুলো আসে তার প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হলোঃ
ভোটার আইডি কার্ড কত দিনের মধ্যে পাবো?
উত্তরঃ বায়োমেট্রিক ও ছবি তুলে আসার পর কত দিন পরে NID কার্ড পাবেন সেটি কোথায় ঐভাবে উল্লেখ করা নেয়। কিন্তু সাধারণত ১৫ বা ১ মাসের বেশি লাগার কথা না। অনলাইনে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করার পর ছবি ও বায়োমেট্রিক দিয়ে আসারপর খুব তারাতারি আপনার National ID Card পেয়ে যাবে। আমার এবং আমার অন্যান্য লোকদের ৩-৪ দিনের মধ্যে NID প্রস্তু হওয়ার মেসেজ চলে এসেছে। এই থেকে ধরতে পারেন ৩-৫ দিনের মধ্যে পেতে পারেন। যদিও এটি এলাকা বা জেলা ভেদে ভিন্ন হতে পারে।
ভোটার আইডি কার্ড করতে কত টাকা লাগে?
উত্তরঃ অনলাইনে বা অফলাইন কোন জায়গাতে ভোটার হওয়ার জন্য আপনাকে এক টাকাও দেওয়া প্রয়োজন নেয় সম্পন্ন ফ্রি তে জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে আপনি যদি নিজে থেকে অ্যাপ্লাই না করে কোন কম্পিউটার দোকানে গিয়ে আবেদন করেন সেক্ষেত্রে তারা তাদের পারিশ্রমিক নিবে। শুধু মাত্র আপনাকে ভোটার আবেদন ফরমটি প্রিন্ট করার জন্য টাকা খরচ করতে হবে এবং অন্যান্য ডকুমেন্ট ফটোকপি করতে। আর যখন আপনার কার্ডটি প্রস্তুত হয়ে যাবে তখন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে সেটি প্রিন্ট করে লেমেটিং করতে ৩০-৫০ টাকার মতো খরচ হবে।
নতুন ভোটার নিবন্ধন ২০২৪ সময়সূচী?
উত্তরঃ অনলাইনে নতুন ভোটার নিবন্ধন করার কোন সময়সূচী নেয় এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া যে কেউ যখন ইচ্ছা ভোটার আইডি কার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। এরপর তার পরবর্তী কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন থেকে বলে দেওয়া হবে।
নতুন ভোটার আবেদন ফরম কোথায় পাবো?
উত্তরঃ নতুন ভোটার নিবন্ধন ফরম নির্বাচন কমিশন অফিসের অফিশিয়াল ওয়েবাইটে পেয়ে যাবেন কিন্তু এটি দিয়ে সম্ভবত কাজ হবে না কারণ এটি নমুনা ফর্ম। আর আসল ফর্মের প্রত্যেকটি উপর ফর্ম নাম্বার থাকে যা এই নমুনা ফরমে নেয়। আপনি এটির জন্য আপনার জেলা বা উপজেলার নির্বাচন কমিশন অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন যদি অফলাইনে ভোটার হতে চান।
নতুন ভোট নিবন্ধন ফরম ডাউলোডঃ Download New Voter Registration From
আমার বাবা-মায়ের বানানের মিল নেই কি করবো?
উত্তরঃ অনেক সময় দেখা যায় আমাদের বাবা-মায়ের ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সাথে আমাদের স্কুল কলেজের সার্টিফিকেট বা কাগজপত্রের সাথে নামের অমিল থাকে যা সংশোধন করা অনেক কষ্ট সাধ্য। আপনি যদি আপনার কলেজের ডকুমেন্ট গুলো নাম সংশোধন করতে চান তাহলে ফর্ম পূরণ করার সময় আপনার বাবা-মায়ের আইডি কার্ড অনুসারে বানান দিতে পারে। আর যদি না সংশোধন করতে চান আমার পরামর্শ থাকবে আপনার ডকুমেন্ট অন্তত সঠিক রাখা কারণ এই আইডি কার্ডের সাথে আমার সার্টিফিকেটের তথ্যের মিল থাকা গুরুত্বপূর্ন।
এছাড়াও যদি আরো অন্য কোন প্রশ্ন আমাদের মনে থেকে তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানান অথবা আমার ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন আমি যথা সম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করবো। আশা করছি, এই পুরো আর্টিকেলটি আপনাকে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে উপকার আসবে। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই অন্যদের মাঝে এটি শেয়ার করবেন যেন তাদেরও উপকার হয়।
ধন্যবাদ।
অন্যান্য আর্টিকেলঃ
ফ্রিল্যান্সিং করে লাখ টাকা আয় !